পশ্চিমবঙ্গের বেকার যুবকদের জন্য এসেছে এক দারুণ সুখবর। কার্মা সাথী প্রকল্প এখন শুধু ঋণ সহায়তাই নয়, বরং মাসিক ভাতার সুবিধাও দিচ্ছে। রাজ্য সরকারের এই বিশেষ উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন নতুন ব্যবসা শুরু করা সহজ হবে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার পথও তৈরি হবে।
কী এই কার্মা সাথী প্রকল্প
কার্মা সাথী প্রকল্প হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি ফ্ল্যাগশিপ স্কিম, যেখানে বেকার যুবকদের নতুন ব্যবসা শুরু করার জন্য ঋণ এবং ভর্তুকি দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের অধীনে –
- সর্বোচ্চ ₹2,00,000 পর্যন্ত ঋণ সহায়তা পাওয়া যায়
- প্রকল্প খরচে সর্বোচ্চ ₹25,000 পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়া হয়
এছাড়াও ঋণ সময়মতো শোধ করলে ৫০% সুদে ভর্তুকি, আর দেরি হলে ৪০% ভর্তুকি দেওয়া হয়।
মাসে ₹500 থেকে ₹7500 ভাতার সুবিধা
কার্মা সাথী প্রকল্পের পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্যের বিভিন্ন স্কিমের আওতায় এখন যুবকদের জন্য মাসিক ₹500 থেকে ₹7500 পর্যন্ত ভাতা মিলতে পারে। যেমন –
- Pradhan Mantri Vishwakarma Scheme: প্রশিক্ষণকালীন ভাতা হিসেবে প্রতিদিন ₹500 দেওয়া হয়
- Pradhan Mantri Shram Yogi Maandhan Yojana: অনিয়মিত শ্রমিকদের জন্য অবসরকালে মাসে ₹3000 পেনশন
- Swami Dayanand Scholarship: যোগ্য ছাত্রছাত্রীদের বছরে ₹50,000 পর্যন্ত সহায়তা
এভাবে ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে মিলিয়ে যুবক-যুবতীরা ঋণের পাশাপাশি মাসিক আয়ের সুযোগও পাচ্ছেন।
কার জন্য এই প্রকল্প
কার্মা সাথী প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে কিছু শর্ত মানতে হবে –
- বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে
- ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাশ
- এক পরিবার থেকে কেবল একজন আবেদন করতে পারবেন
- যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে

সেপ্টেম্বরেই মহিলাদের একাউন্টে ঢুকবে ২০০০–২৪০০ টাকা, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে নবান্নের বড়ো ঘোষণা
আবেদন করার নিয়ম
কার্মা সাথী প্রকল্পে আবেদন করা যায় অনলাইন ও অফলাইনে। অনলাইনে আবেদন করতে হলে অফিসিয়াল পোর্টালে গিয়ে ফর্ম পূরণ করতে হবে। আবেদনকালে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট যেমন আধার কার্ড, বসবাসের প্রমাণ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এবং প্রজেক্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
কেন গুরুত্বপূর্ণ
আজকের দিনে চাকরির সুযোগ সীমিত, তাই ব্যবসা ও স্বনির্ভরতা বাড়াতে এই প্রকল্প এক বড় সহায়ক। কার্মা সাথী প্রকল্প শুধু অর্থনৈতিক সহায়তাই নয়, যুবকদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলছে এবং রাজ্যের উন্নয়নে নতুন দিশা দেখাচ্ছে।
রাজ্যের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিটি যোগ্য যুবক-যুবতীকে আত্মনির্ভর হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া। এই প্রকল্প সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছে।”